খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় জড়িত আলমগীরকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার ঘটনার দুই দিন পর রবিবার (১৬ মার্চ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাকে জরিমানা ও আটক করা হয়।
উত্ত্যক্তকারী আলমগীরকে পরবর্তীতে স্বীকার করে শুক্রবার ক্যাম্পাসে সে এসেছিল।এবং ঘটনার সাথে জড়িত ছিল।এর প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
একথা নিশ্চিত করেছেন হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ খাইরুল বাশার।
এর পূর্বে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দুই শিক্ষার্থী বাজার করার উদ্দেশ্যে বের হলে মধ্যবয়স্ক আলমগীর তাদের অনুসরণ করতে থাকেন। তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেন, যেমন—“কয়টা বাজে?”, “আপনারা কোথায় পড়েন?”, “হলে থাকেন কি না?” এবং “বাড়ি কোথায়?” পরে সূর্যমুখী বাগানের দিকে গিয়ে ওই ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের দেখে বিভিন্ন অশালীন আচরণ করেন। ক্যাম্পাস ছুটির কারণে আশপাশে লোকজন কম থাকায় শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি আলমগীর এর আগেও এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (খুবিসাস) শিক্ষার্থীদের উত্তাক্ত করার ঘটনার সত্যতা পেলে হরিণটানা থাকায় জানানো হয়।
এই ঘটনা পরে চলমান ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত ক্যাম্পাসে বহিরাগত অতিথিদের প্রবেশে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন এবং বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে সহযোগিতা করার কথা বলেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ